কথায় আছে, সময় গেলে সাধন হবে না। কথাটি আসলেই সঠিক। তাই সময়ের কাজ সময়ে করতে সময় ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই।
সময় ব্যবস্থাপনা হলো একটি পরিকল্পনা প্রক্রিয়া, যা দিয়ে ঠিক করা হয় কোনো নির্দিষ্ট কাজ করতে কতটুকু সময় ব্যয় করা উচিত। সঠিক সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অল্প সময়ে বেশি কাজ করতে পারেন এবং কম মানসিক চাপে ক্যারিয়ারের উন্নতির পথে হাঁটতে পারেন।
আসলে সময় ব্যবস্থাপনার হলো বেশ কিছু গুণ ও অভ্যাসে সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দক্ষতা, যা আমাদের ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবনের কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কেন সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানো উচিত
শিক্ষার্থী কিংবা চাকরিজীবী, সবারই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব ও চাপ বাড়তে থাকে। যদি সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা আয়ত্ত করা না যায়, তাহলে দেখা যাবে কোনো কাজই ভালোমতো হচ্ছে না। এমনকি পরিবারকেও পর্যাপ্ত সময় দেওয়া যাচ্ছে না।
ফলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। শিক্ষাজীবনে ফলাফল বিপর্যয় হতে পারে। আর কর্মক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারায় ক্যারিয়ারে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না–ও আসতে পারে। সর্বোপরি পারিবারিক জীবন, শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন হতে পারে অসফল।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হয়। যদি কোনো কারণে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যবসাতে দেখা দেয় মন্দা। তাই পারিবারিক ও কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং সফলতা অর্জন করতে সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতাটির গুরুত্ব অপরিসীম।