কয়েক মাস আগেও কুকুর তো দূর, বিড়াল দেখলেও ভয়ে পালাতেন বিদ্যা সিনহা মিম। এমনকি যেসব বন্ধুর বাড়িতে কুকুর ও বিড়াল আছে, সেসব বাড়িতেও যেতেন না। একবার তো বাসায় বিড়াল নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড! কোথা থেকে একটি বিড়াল এনেছিলেন তাঁর মা। সারাক্ষণ বিড়ালটি ঘরের মধ্যে ঘুরে বেড়াত। আর আতঙ্কে থাকতেন মিম। খাবার টেবিলেও বিড়ালের ভয়ে চেয়ারে পা তুলে খেতে হতো তাঁকে। একটা সময় বিড়ালটি তাঁদের বাড়ির সদস্যের মতোই হয়ে গেল। কেমন যেন বিড়ালটির ওপর মায়া জন্মে গেল। মিম জানালেন, শুটিংয়ে গেলে বিড়ালটিকে খুব মনে পড়ত। কিন্তু দরজা খুলে বাসায় ঢোকার সময় দৌড়ে তাঁর কাছে না এলে মন খারাপ হতো। এখন অবশ্য বিড়ালটি তাঁর বন্ধু হয়ে গেছে।
মিম বলেন, ‘বিভিন্ন জাতের কুকুর ও বিড়াল আমার অনেক সহকর্মীই পোষেন। কী সুন্দর কথা শোনে। বাসায় ফিরলে দৌড়ে কাছে আসে। দেখতে কী কিউট লাগে! সঙ্গে সঙ্গে থাকে। রাতে তাঁদের সঙ্গে ঘুমায়। আমার খুব ভালো লাগে।’ কয়েক মাস আগে মিম তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন, একটি কুকুরছানা লাগবে। কুকুরটি সঙ্গে সঙ্গে রাখবেন। তাঁর কথা শুনবে, তাঁর সঙ্গে খেলবে, দুষ্টুমি করবে।
প্রায় ১০ দিন হলো মিমের জন্য একটি কুকুর আনিয়েছেন তাঁর মা। মল্টিজ জাতের। বয়স তিন-চার মাস হবে। গায়ের রং সাদা। নাম রেখেছেন ক্যান্ডি। মিম বলেন, ‘মাসখানেক আগে ভারত থেকে আনা হয়েছে কুকুরটি। যিনি এনেছেন, তাঁর বাসায় ছিল এত দিন। ১০ দিনের মতো হলো আমার বাসায় এনেছি। এই লকডাউনে দিনের বেশির ভাগ সময় তার সঙ্গেই কাটছে। মাঝে একটু জ্বর এসেছিল তার। দুই দিন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ক্যান্ডিকে নিজের বাচ্চার মতো মনে হয় এখন।’ কুকুরছানাটিকে এখন পোষ মানানোর ট্রেনিং চলছে। বিভিন্ন নিয়ম শেখানো হচ্ছে, জানালেন মিম।